গতকাল ছিল শনিবার। সকাল থেকে আকাশে মেঘ জমে আছে। বৃষ্টি হবে বলে মনে হচ্ছে। খবর দেখেছি বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে আমার শহরে এখনো বৃষ্টি হয়নি। আমার শহরের মানুষ পশুপাখি থেকে শুরু করে ইট পাথরও যেন বৃষ্টির অপেক্ষায়। অনাকাঙ্ক্ষিত গরম যেন মানুষের মস্তিষ্ক পুড়িয়ে দিচ্ছে।
অধিকাংশ মানুষের কাজ বাদ দিয়ে অবসর সময় কাটাচ্ছে গরমের জন্য। গ্রাম অঞ্চলে লোডশেডিং অনেক বেশি। এইজন্য গ্রামের মানুষ গরমকে একটু বেশি অনুভব করে।
প্রচন্ড গরমের জন্য আমি কালকে বাসা থেকে বের হয়নি। আমি আমার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও যায়নি কালকে। আমি বাসাতেই ছিলাম। এবং আমি যখন আমার বাসার বারান্দায় বসে ছিলাম তখন আমার আম্মুর পোষা মুরগিগুলো উঠানে হেঁটে বেড়াচ্ছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল যে মুরগিগুলো হয়তো ক্ষুধার্ত। তাই আমি সকালে মুরগিগুলোকে একটু খেতে দেই।
এরপর বাসার কাজে আম্মুকে একটু সাহায্য করি। তাছাড়া সারাদিনে কোন বর্ণনা করা মত কোন কাজ ছিল না। দুপুরে গোসল করে খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু স্টাডি করতে করতে কখন জানি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ আমার কাছে ফোন আসলো।
আমি ফোনের রিংটোন শুনে বিছানা সেরে উঠে বসলাম। ফোন করেছে আমার এক কাজিন। সে ফুটবল খেলতে গিয়ে নাকি পায়ে ব্যথা পেয়েছে। হাঁটতে পারছে না। তাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
আমি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে তার বাসা থেকে রওনা দিলাম তার বাসায় । তারপর তার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়া উচিত। আমি তাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলাম। তারপর তাকে নিয়ে সোজা চলে গেলাম পাশে একটি হসপিটালে।
হসপিটালে গিয়ে আমাদের সিরিয়াল হলো বেশ কয়েকটা রোগীর পরে। যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা একটি ক্যারি ভ্যান আমাদেরকে দিয়েছে। যেহেতু ও হাঁটতে পারছিল না। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদের সিরিয়াল আসলো।
তারপর আমাদের ডক্টরের রুমে ঢোকার পারমিশন দিলেন। ডক্টরের রুমে ঢোকার পর ডক্টর কিভাবে লেগেছে পুরো ঘটনাটি জানতে চাইলেন। সবকিছু শোনার পরে ডক্টর গভীর হয়ে পর্যবেক্ষণ করলেন এবং একটি এক্সরে করাতে বললেন।
তারপর ডক্টরের রুমে থেকে বের হয়ে আমরা এক্সরে জন্য একটি এক্স-রে টকেন নিতে গেলাম। তারপর কাউন্টার থেকে এক্স-রে টকেন নিলাম। তারপর আমি ওকে নিয়ে গেলাম এক্স-রে রুমে ।
সেখানে একজন অল্প বয়স্ক এক্সরে এক্সপার্ট ছিলেন। তিনি খুবই দক্ষতার সাথে এক্স -রে টি করলেন। করার পর তিনি যখন কম্পিউটারে প্রিন্ট করছিলেন। তখন আমাকে সান্তনা দিয়ে বলছিলেন যে ভয়ের কিছু নাই তেমন কোন মেজর সমস্যা হয়নি। কথাটি শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।
আমাদের আরো কিছু সময় এখানে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। রিপোর্ট কি ডক্টরকে দেখানোর জন্য। ইতিমধ্যে এই সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেছে। আমাদের বাসায় ফিরতে হবে। তাই আমি কাউন্টারের একজন লোককে বললাম আমাদের রিপোর্টটি যাতে তাড়াতাড়ি দেখিয়ে দেয়া হয়।
তুমি আমাদের সমস্যাটি বুঝতে পারলেন এবং আমাদের রিপোর্টটি আগে ডক্টর কে দেখানোর ব্যবস্থা করে দেন । ডক্টর বললেন। পায়ের লিগার্মেন্টে হালকা সমস্যা হয়েছে। বেশ কিছু ঔষধ লিখে দিলেন। এবং বললেন ঔষধ গুলো নিয়ে এসে যেন এখনই খাইয়ে দেওয়া হয়। যে তোর পায়ে অনেক ব্যথা করছিল তাই আমি আর দেরি না করে তাৎক্ষণিক পাশে একটি ফার্মেসিতে গিয়ে ওষুধ গুলো নিয়ে এসে ওকে খাইয়ে দিই।
ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ওষুধ কেনা পর্যন্ত যে টাকা খরচ হয়েছে তার বিবরণ আমি আপনাদেরকে দিতে চাই। কারণ অনেক হসপিটাল আছে যেখানে নির্দিষ্ট টাকার থেকে অনেক বেশি টাকা নিয়ে থাকেন। আমি এখানে বিবরনটি শেয়ার করছি যাতে আপনারা একটু হলে উপকৃত হন।
খরচ | BDT | Steem prices |
---|---|---|
ডক্টর ভিজিট | 500 Taka | 29.425 steem |
এক্স-রে | 500 taka | 29.425 |
মেডিসিন 7 দিনের | 460 taka | 25 steem |
Category | Dairy Game |
---|---|
Camara | Poco x3 pro |
photographer | @shahariar1 |
Location | Bangladesh |
Best regards,
একটি সম্মানজনক উল্লেখ, @steemcurator01, @steemcurator02
একটি সম্মানজনক উল্লেখ, @steemcurator01, @steemcurator02