Create by poster maker apps
প্রথম পর্বে আপনাদের সাথে কিছু ছবি আর তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেছিলাম। আজও এসেছি অন্য রকম সব আয়োজন নিয়ে। প্রাণিটি চিড়িয়াখানাতে মমি করে রাখা আছে।দূর হতে দেখে কাছে গিয়েছি।মনে হচ্ছে চিতাবাঘ এর মমি এটা।কাচের তৈরি ঘরের মধ্যে একে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।দূর হতে ভালো লাগলেও কাছে যেতেই ভয় লাগছিলো। কি হিংস্র দেখতে। চোখ দুটো দখলে মনে হয় এখনো জীবন্ত।যাইহোক বাঘের খোঁজে, চিতাবাঘের সন্ধান মিললো।
কিছুদুর সামনে গিয়েই দেখা পেলাম উট পাখির।ও আল্লাহ! এযে আমার হতে ও বড়।কি মস্ত বড় তার শরীর। খাচার বাহিরে দাঁড়িয়ে ভাবছি।উট পাখি কি খাওয়া যায়?যদি খাওয়া যায় তবে এর মাংস কত মণ হবে।হাঁস মুরগীর পা অনেকেই খায়।তাহলে এই পা কে? আর কি ভাবে খাবে?যাই হোক সময় নেই।এখনি চিড়িয়াখানা হতে বার করে দিবে।সামনে যাই।
নাম চিড়িয়াখানা আর সেখানে হরিণ থাকবে না।সেটা কিভাবে হয়।হরিণ দেখেই দৌঁড়ে খাচার কাছে গিয়েছি।ভালোই লাগছে।হরিণ ঘাস খাচ্ছে।তার সামনে সদ্ধ্য ঘাস কেটে এনে দিয়েছে মনে হচ্ছে।হরিণটি খুব তৃপ্তি নিয়েই খাচ্ছে।তাকে বিদায় দিয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম।
কি ছবি দেখে অবাক হচ্ছেন?যে পাখির ডিমের কথা এতো দিন বইয়ের পাতায় পড়েছি।মানুষের মুখে শুনেছি।সেই পাখির ডিম এখন আমার সামনে।ডিম গুলো সংরক্ষণের জন্য, একটি বায়ুশূন্য বড় কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।অনেক মানুষের ভীড় এই ডিম দেখবার জন্য।আমি একটি ছবি তুলবার জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।আপনারা আগে এই পাখির ডিম দেখেছেন কিনা বলতে পারছি না।তবে আমি এই প্রথম এই পাখির ডিম দেখেছি।আপনারা দেখতে চাইলে খুলনা জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট চিড়িয়াখানায় চলে আসতে পারেন।😊
বাঘের সাথে আমি।যদিও সবাই একে বাঘ বলছে। কিন্তু আমার মনে হয় এটি সিংহ। কি আর করা কথায় বলতে শুনেছি ১০ জন যে দিক যায় আল্লাহ ও সেই দিক যায়।যাই হোক সবাই বাঘ বলে তাকে মেনে নিয়েছে তাই আমি ও মেনে নিলাম।বাঘ, সিংহ মামাকে দেখে মনে হচ্ছিলো সে খুব কেলান্ত।এই গরমের প্রভাব ও তার উপর পরেছে।
কিছু কি দেখতে পাচ্ছেন?চিন্তিত হবার কিছু নেই।আমি বলছি,এটি একটি অজাগর সাপ।এটি আকারে অনেক বড়।তবে খাচার এক কোনে পরে থাকার জন্য ছবি তুলতে পারছিলাম না।অনেক কষ্টে ছবিটি তুলেছি আপনাদের জন্য।
মনোযোগ দিয়ে বানর আন্টি বাদাম খাচ্ছে।একজন বানরএর খাচার সামনে দাঁড়িয়ে বাদাম খাচ্ছিলো। হটাৎ বানরটি তার হাত বাড়িয়ে বাদাম গুলো চোখের পলকেই ছো মেরে নিয়ে গেছে।তখন লোক মুখে শুনলাম কিছুদিন আগে বানর একজনের মোবাইল হাত দিতে নিয়ে গিয়েছে।তাই আমি ও তারা তারি একটি ছবি নিলাম।আমার এই মোবাইল টা নিয়ে গেলে।আমি পুরাই বেহুস বনে যাবো।
এই ছোট ছোট খরগোশ গুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে। একজনকে দেখলাম পাশের হতে ঘাস ছিড়ে এনে খাওয়াচ্ছে।আমার ও ওদের খাওয়াতে ইচ্ছা হলো।যেই ইচ্ছা সেই কাজ।আর দেরি করলাম না। প্রাণী সেবা করতে।খাওয়াতে খুব ভালো লাগছিলো। কিন্তু সময় খুব কম বলে চলে আসতে হয়েছে।😔😔
চিড়িয়াখানায় এসেছি আর কিছু খাবো না এটা কি ঠিক বলুন? তাই ঘটি গরম খাবো ঠিক করেছি।দোকানদার ভাইকে বললাম একটা ঘটি গরম দিতে। ঠিক তখনই একজন আরমি কর্মকর্তা এসে বলছে আর এদিকে থাকা যাবে না।আপনারা মেইন গেটের দিকে চলে যান।আমি বললাম এই যাচ্চি। ২ মিনিট।বলেই টাকাটা দিয়ে, ঘটি গরম নিয়ে ধীর পায়ে খেতে খেতে মেইন গেটের দিকে হাটা শুরু করেছি।।।।
আমার পোস্টটি কেমন লেগেছে? উট পাখির ডিম কি আগে কখনো দেখছেন? জানাবেন।আপনাদের মূল্যবান কমেন্ট এর অপেক্ষায় রইলাম।আজ আর নয় আল্লাহ হাফেজ।
শুভেচ্ছান্তে,
@sirinaa02