The Dairy Game : (24.04.23) Spring festival for child.

আসসালামুআলাইকুম.. কেমন আছেন সবাই?

@tasrin94 এর পক্ষ থেকে সবাই কে শুভেচ্ছা.

আজকে আমি ডায়েরি গেম করেছি. আশা করি কেউ বিরক্ত হবেন না.

সেদিন বাচ্চাদের স্কুল থেকে এক বিশাল চিঠি ধরিয়ে দিলো। আমি তো ভয় গেছি, ভেবেছি এই বুঝি কি না কি করে বসলো পোলাপাইন. বাসায় এসে অনুবাদ করতে বসে গেলাম. বাচ্চার বাবা আবার নিজেকে জার্মান ভাষায় পণ্ডিত মনে করায় আমার করা অনুবাদ ওনার পছন্দ হয়নি. উনি যে অনুবাদ করেছেন সেটা যদি মানতাম তাহলে আমাদের কে এখন হাসপাতাল থাকতে হতো. যাক গে! আসল কথায় আসি, সামার আসছে এই উপলক্ষে স্কুল কর্তৃপক্ষ একটা উৎসব আয়োজন করেছে, বাংলায় যাকে আমরা বলি "বসন্ত উৎসব "

IMG-20230530-WA0017.jpg

সেটার জন্যই সব বাবা - মার কাছ থেকে অনুমতি চাচ্ছিলো. আমিতো ব্যাক্তিগতভাবে ভীষণভাবে ঘরকুনো মানুষ, বাচ্চারা হওয়ার আগে আমি ঘর থেকে খুব বিপদে না পড়লে বের হতাম না. আর সেই আমি এখন প্রতিদিন বাইরে যেতে হয়, ভাবলেও ভয় লাগে আমার. এই কি সেই আগের আমি!
এই যা! আবার আমার লেখার ধারা কই থেকে কই চলে যাচ্ছিলো.. 16 তারিখ ছিল স্কুলের বসন্ত উৎসব, আবার ওইদিন ই আমার একটা মিটিং ছিল তাই খুব ভয়ে ছিলাম. যদি আমরা ঠিক টাইমমত যেতে না পারি বাচ্চাদের কে রুম থেকেই বের হতে দিবেনা. ওইদিন ও প্রতিদিন এর মতই ওরা স্কুল এ গিয়েছে. সকালের নাস্তা+লাঞ্চ ওরা স্কুলেই করে সবসময়. তাই তাড়াতাড়ি যেতে হয়. ওইদিন আমার মিটিং শেষ হতে 3 টা বেজে যায়. অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল 3.30 এ, এখানে 3.30 মানে 3.20 এ গেট বন্ধ হয়ে যাবে. এরপর কান্না করলেও লাভ নাই, গেট আর খুলবেনা.

IMG-20230530-WA0014.jpg

আমি শেষ মুহুর্তে কোন রকম দৌড়ে ঢুকে গিয়েছি. গেটটা কয়েকটা বেলুন দিয়ে সাজানো ছিল. অনেকেই দেখলাম আমার মত শেষ টাইমে গিয়েছে. নিজের ভিতর তখন একটা ভালোলাগা কাজ করতেছিল😁ভিতরে গিয়ে প্রথমেই বাচ্চাদেরকে ওদের টিচারদের কাছ থেকে রিসিভ করে নিয়েছিলাম. এরপর দেখলাম আইসক্রিমের দোকান দিয়েছে. সেখান থেকে বাচ্চাদের প্রিয় সফটআইস নিলাম. বাহিরে তখনও একটু ঠাণ্ডা ছিল তাই আমার ভয় লাগছিল না জানি এবার ওদের ঠাণ্ডা লেগে যায়! আমাদের পাশে বসে আরো কয়েকটা বাচ্চা আইসক্রিম খাচ্ছিলো, তখন মনে হল আমি শুধু শুধুই চিন্তা করছি.

IMG-20230530-WA0012.jpg

এর মধ্যে কানে মিউজিক এর সাউন্ড এলো, প্রথমে ভেবেছি ভুল শুনেছি তাই বসেই ছিলাম. পরে পাশে তাকিয়ে দেখি ওমা! আশেপাশে কেউ নেই, সব গায়েব. তাই শব্দ অনুসরণ করে আমিও জায়গায় গেলাম. গিয়ে দেখলাম টিচাররাই গিটার হাতে তুলে নিয়েছে. একের পর এক তারা বাচ্চাদের গানগুলো গেয়েই চলছিল. তবে আমার কাছে এটাকে গান কম কবিতা বেশি মনে হয়েছে. তখন মনে হলো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির আসলেই কোনো তুলনা হয়না.

IMG-20230530-WA0013.jpg

এরপর আমরা মূল অনুষ্ঠানের জায়গায় গেলাম. সেখানে অনেকগুলা স্টল করা ছিল যেখানে বাচ্চাদের দিয়ে বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ DIY করা হচ্ছিল. মূল উদ্দেশ্য ছিল মটরস্কিল বৃদ্ধি করা. সেটাকেই বিভিন্ন ধরনের ফান এর মাধ্যমে আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করেছে, যাতে বাচ্চারা বিরক্ত না হয়ে যায়.

IMG-20230530-WA0015.jpg

সবাইতো খুব ছোট 0-7 বছর পর্যন্ত এজ লিমিট. এটা মূলত একটা প্রি-স্কুল. আমার মেয়ে সব গুলোতেই অংশগ্রহণ করলেও ছেলে দোলনা নিয়েই বিজি ছিল. কোথাও মাথার মুকুট বানাচ্ছে, কেউ সাবান পানি দিয়ে বেলুন ফুলিয়েছিলো, কেউ বোতল এ কালার করছিলো,কেউ রং করছিলো, কেউ বা বাঘ - সিংহ হচ্ছিল. আরো অনেক স্টল ছিল যেগুলোর নাম ই আমি জানিনা 😁

IMG-20230530-WA0010.jpg

এর মধ্যে আবার খাবার আয়োজন ও ছিল. বিভিন্ন আইটেম এর কেক ছিল. কেক ও টিচাররাই বানিয়েছে. প্রতি গ্রুপের টিচার বাচ্চারাসহ বানিয়েছে, এমনকি পুরুষ টিচাররাও বানিয়েছেন. আমি শুধু অবাক হয়ে দেখছিলাম! যেখানে আমি রেসিপি খুঁজি সেখানে এই লোক এত সুন্দর কেক কেমনে বানালো!

IMG-20230530-WA0011.jpg

এই সব করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই আমরা বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম. বের হওয়ার সময় দেখি বিশাল এক ট্রাক্টর দাঁড়িয়ে আছে. এটা এত বড় যে, এর চাকায় একজন মানুষ অনায়াসে শুয়ে যেতে পারবে. তো সবাই দেখলাম ট্রাক্টর এ উঠার জন্য সিরিয়াল দিয়েছে তাই আমরাও দাঁড়ালাম. অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর আমাদের সিরিয়াল আসলো. সিট এ উঠার জন্য সিঁড়ি দেয়া আছে, তারমানে এটা কত বড়!

IMG-20230530-WA0016.jpg

এই পর্ব শেষ হওয়ার পর মনে হলো, সত্যি অনেকটা দেরি হয়ে গেছে এবার ফিরতে হবে.
বাসায় ফেরার পথে মেয়ের সাথে গল্প করতে করতে আসলাম..
আজ এই পর্যন্তই থাকুক না হয় আবার সবাই বিরক্ত হয়ে যেতে পারেন. আবারো দেখা হবে. দোয়া করবেন সবাই আমাদের জন্য. আল্লাহ্‌ হাফেজ.

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
14 Comments