চায়ের দোকানে কখনও বা পাড়ার মোড়ে
ছেলেগুলোকে নজরে পড়বেই আমাদের
আপনি আমি সবাই মুখ বিকৃত করি দেখে
এ পাড়ায় আর থাকা যাবে না সম্মান রেখে।
কি সব অঙ্গ ভঙ্গি আর কথা বার্তার ধরন
বাপ মা কিছুই শেখায়নি শালীন আচরণ,
দেখে দাঁত করে কিটমিট মাথা হয় আগুন
পোশাকের বাহার দেখো যার ঘরে নেই নুন।
তাদেরই একটি ছেলে কিছুটা শ্যামলা
আচমকা দলছুট কি জানি কি মামলা?
কিছু বন্ধী ভদ্রতা নিয়ে দাঁড়ায় তফাতে
একটা সদ্য ফোঁটা গোলাপ তার হাতে।
নিজেকে সে হারিয়ে ফেলেছে কোথায়?
অনামি কোনো এক বালিকার খোঁপায়।
বেলী ফুলের গাঁথা মালার ঐ সুতায়
নিজেকে বেঁধে ফেলেছে নিজের অজানায়।
পরনে বাসন্তী রং শাড়ি আর খোঁপায় বেলী
শালবনের ছোট পথ দিয়ে চলা কোনো ভোরে
হঠাৎ ঘুম ভাঙা পাখিদের ডানার অদ্ভুত শব্দ
বারে বারে দিশেহারা মন হয় প্রলুব্ধ।
তবু তার রং বাদল পড়েনি বালিকার চোখে
তাই আজ গোলাপ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে
কোথাও কোনো কূল নাই জল আর জল
ভালোবাসা তার সত্যি ছিল শিশুর মত নির্মল।
I already published this poem on my blog : http://www.bangla-kobita.com/sujoy12/post20170130014720/