বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আশা করি সকলে স্টিমেট বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও মোটামুটি আল্লাহর রহমতে ভালোবাসি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার সারাদিনের ডাইরি গেম চলুন এবার শুরু করা যাক সারা দিনের কাটানো মুহূর্তগুলো।
সকালবেলা
আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে পারিনি এবং ফজরের নামাজ আদায় করতে পারিনি। কারণ কাল রাতে অনেক খুন সজাগ আছিলাম এবং ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম তার জন্য প্রচুর মাথা ব্যাথা করছিলো। তার জন্য সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে লেট হয়েছে। ছেলেতো ঘুম থেকে উঠে খেলাধুলা করছিল তবুও আমি শোয়া ছিলাম । মা ছেলেকে সকালে কি খাইয়ে দিয়েছে তা আমি জানিনা কিন্তু আমি সকালে কিছুই খাইনি উঠে একদম ভাত খেয়েছি। ভাত খাওয়ার পর এক কাপ রং চা খেয়েছি।
দুপুর +বিকেল
তারপর দুটো বাজে মাছ ধরা শেষ হলো এবং সব মাছ গুলো বড় একটা পাতিল নিয়ে উঠানে রাখল তারপর ভাগ করে নিলো। আমি মাছের আনন্দটা পাই শুধু মাছ ধরার এবং দেখার। কিন্তু এসব মাছগুলো খেতে তেমন বেশি একটা পছন্দ করি না। যতটুকু দেখে আনন্দ পাই কিন্তু খেতে ভালবাসি না। ছেলে তো আমার দুপুরে ভাত খেয়ে ঘুম পড়েছে তার জন্য মাকে আমি মাছ কাটতে সাহায্য করতে পেরেছি। মাছগুলো কেটে ধুয়ে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি তারপরে দুপুরের ভাত খেলাম। ভাত খেয়ে উঠলাম এখন কিছুক্ষণ পর আসরের আযান দিল। তারপর আসরের নামাজটা পড়ে ছেলের পাশে শুয়ে থাকলাম। আজকে মনে হলে যেন দিনটা তাড়াতাড়ি কেটে গেল।
সন্ধ্যা +রাত
ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেল এবং কিছুক্ষণ ওকে সময় দিলাম। তারপর আমি অজু করে আসলাম আর ছেলেকে খাটের উপর বসিয়ে রাখলাম এবং কিছু সামনে খেলনা দিয়ে গেলাম। তারপর মা আমি আমরা দুজনে মিলে নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ তো পড়তে গেলাম এদিকে আমার ছেলে আমাদের কাউকে না পেয়ে মায়াবী এবং রং ঢং করে ডাকাডাকি শুরু করলো। এবং ওর ডাকগুলো যে কেউ শুনলে তখন মায়ায় পরে যেত। আমরা তো ওর ডাকে কেউ সাড়া দিতে পারছিলাম না। তারপর নামাজটা শেষ করে ওর কাছে আসলাম এবং কোলে তুলে নিলাম। তারপর আমার গালে দুই গালে দুটো চুমু দিল। যাইহোক আজকের ছেলের রং ঢং বাহানা দেখে সন্ধ্যাটা পার হয়ে গেল।
তারপর ছেলেকে সন্ধ্যায় কেক পানি দিয়ে ভিজিয়ে খাইয়ে দিলাম। ওকে কেক খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি মাথাব্যথার জন্য এক ঘন্টা ঘুমালাম। ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে ফোনে কার্টুন দেখে ভাত খাইয়ে দিলাম। তারপর আমরা সবাই ভাত খাইয়ে নিলাম। আর এদিকে ৯ টা বেজে গেল । তারপর ডিসকোড এ ভয়েস কলে উপস্থিত থাকতে হবে তার জন্য সেখানে জয়েন্ট করলাম। এবং কিছু প্রয়োজনীয় কথা বলে নিলাম। তারপর এই পোস্টা আমি লিখতে বসেছি রাত দশটার সময়। একবার ভাবছিলাম লিখব না প্রচুর মাথা ব্যাথা করছিল তো আবার মনেও মানছিলনা তাই যতই কষ্ট হোক আমি পোস্টা লিখতে বসলাম। পোস্টা সম্পূর্ণ লিখে তারপর শেয়ার করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন (আল্লাহ হাফেজ) |
---|