আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
আজকে সকাল 6:মিনিটে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। তারপর আমার হাত মুখ ধুই। হাত মুখ ধোয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করি। তারপর ৭:২৫ মিনিটে গোসল করি। গোসল করে সকালের খাবার খাই। সকালের খাবার খেয়ে অফিসের মধ্যে প্রবেশ করি।
অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে প্রতিদিনের মতো আজকেও আমার মেশিন পরিষ্কার করে নিলাম। তারপর আমি আমার কাজে মনোযোগী হয়ে পড়লাম। এখন কাজের চাপ মোটামুটি ভালো সেজন্য কাজ খুব মনোযোগ দিয়ে করতে হয়। প্রত্যেকদিন সকালে সুপারভাইজার এসে সারাদিন কত পিস কাজ করব সে টার্গেট দিয়ে যায়। সে টার্গেট অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হয়। প্রত্যেকদিন যে টার্গেট দিয়ে যায় সে টার্গেট অনুযায়ী কাজ করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে যায়। কষ্ট হলেও কাজগুলো মনোযোগ সহকারে করতেই হয়। কারণ এ কাজে আমাদের রুটি ও রোজি।
কাজ করা শেষ হলে কাজটা চেক করার জন্য টেবিলে দিয়ে আসলাম। ইন্সপেকশন টেবিলে প্রত্যেকটা লাইনের আলাদা আলাদা ইন্সপেকশন রয়েছে। ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন সে আমাদের লাইনে ইন্সপেকশন। সে খুব মনোযোগ দিয়ে কাজগুলো চেক করে আমাকে ডাক দিল। তার ডাক শুনে আমি ইন্সপেকশন টেবিলে গিয়ে কাজগুলো নিয়ে ডিস্ট্রিবিউটরে গিয়ে জমা দিয়ে আসলাম।
কাচ জমা দিয়ে এসে আবারো কাজ করা শুরু করলাম। সকাল থেকে সুপারভাইজারে যে টার্গেট আমাদের দিয়ে গেছে সেটা খুব কঠিন করে করতে হয়। কাজ খুবই চিকন হওয়ায় কাজ করা ও খুব কঠিন। তারপরেও কাজ চিকন হলেও করতে হবে মোটা হলেও করতে হবে। এক সময় চিকন কাজ আসে অন্য সময় মোটা কাজ আসে। যখন যে কাজে আসুক সেটা করতে হয়।
দুপুর একটা সময় দুপুরের খাবার খেতে অফিসের বাহিরে চলে গেলাম। যে হোটেলে খাবার খেয়ে থাকি সেখানে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে বাহিরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে গল্প করলাম। তারপর আবারও অফিসের মধ্যে প্রবেশ করলাম। অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। দুপুর দুইটা থেকে আবারো কাজ করা শুরু করলাম। সবাই খুব মনোযোগ সহকারে কাজ করছে। সবারই দৈনিক কাজের টার্গেট আছে। দিনশেষে টার্গেট ফিলাপ না হলে সুপারভাইজার এর অনেক কথা শুনতে হয়। সেজন্য সবাই খুব সিরিয়াসলি কাজ করে থাকে।
বিকেল চারটার দিকে একটা কাজের জন্য জনি ভাইয়ের মেশে নিয়ে গিয়ে দাঁড়ালাম। সেখানে গিয়ে দেখি জনি ভাই খুব মনোযোগ সহকারে কাজ করিতেছে। সে একজন আদর্শ linking operator। তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে আমি আবারও আমার মেশিনে চলে আসলাম। মেশিনে এসে কাজ করা শুরু করলাম।
রাত দশটার সময় আমাদের অফিস ছুটি হয়ে গেল। অফিস থেকে বের হয়ে হোটেলে দিকে রওনা করলাম। হোটেলে এসে হাত-মুখ দিয়ে নিলাম। তারপর রাতের খাবার খেলাম। খাবার শেষ করে বাসার দিকে আসতে শুরু করলাম। বাসায় এসে সাবান দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে আবারও ফ্রেশ হয়ে নিলাম। সবার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|