আজকের তারিখ:২৭/১১/২৩
রোজ: সোমবার।
Tha Diary Game
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। তো বন্ধুরা কালকের মতো আজকেও আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার সারা দিন কীভাবে কাটিয়েছি। আশাবাদী যে আপনাদের সকলের ভালো লাগবে আমার সারা দিনের গল্প। আমি এই প্লাটফর্মে নতুন একজন সদস্য তো বন্ধুরা আমার কোন ভুল হলে ক্ষমা চখে দেখবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি যাই করি না কেন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি।তো বন্ধুরা চলুন এবার শুরু করি।
আমার কাটানো সকালের মুহূর্ত।
প্রতি দিনের মতো আজকেও অনেক ভরে উঠে গেছি। কেননা সকাল বেলা কাজ করতে অনেক ভালো লাগে এবং শরীর মন দুটোই ভালো থাকে সেজন্য আমি খুবই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে পছন্দ করি,আর আমাদের গ্ৰামের মা বোনেরা সকলেই সকাল বেলা উঠতে পছন্দ করেন। এরপর উঠার পর থালা বাটি ধুয়ে ঘরে নিলাম, উঠান ঝাড়ু দিলাম মুরগি কে খেতে দিলাম। ওদিকে দেখি রান্না প্রায় শেষের দিকে। আমাদের আজকে ভাত, আলু ভর্তা,ডিম ভাজি সিম্পল খাবার রান্না তাই অনেক তাড়াতাড়ি রান্না হচ্ছে আর রাতের তরকারি রয়েই গেছে তো সব মিলিয়ে আমাদের আজকের সকালের খাবার যাই হোক মাশআল্লাহ।পরে দেখি আমার হাজব্যান্ড ও ঘুম থেকে উঠে গেছে উনার ডিওটির টাইম হয়েছে তাই। এরপর আমি সুন্দর করে বিছানা গুছিয়ে নিই। আমি তেমন ধনি নই ধরতে গেলে গরিব ই তাই এত সুন্দর বিছানার চাদর নেই।যাই হোক তাই নিয়ে আমি খুবই খুশি।
যখন আমি ধান শিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিই।
শ্বাশুড়ি সকাল বেলা বলল ধান শিদ্ধ করবে আজকে ,তো খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমার শ্বশুর ধান পেড়ে দিল আর আমরা শ্বাশুড়ি বউ বড় একটা চাড়ি আছে সেখানে ভিজানো শুরু করলাম এরপর ভিজানো শেষ হলো। এখন যে চুলায় সিদ্ধ করা হবে সেই জায়গায় টি পরিষ্কার করছি। এরপর রাস্তা দিয়ে জেলে যাচ্ছিল মাছ নিয়ে উনি সবাইকে মাছ নেওয়ার জন্য ডাকা ডাকি করছিল আমি আমার শাশুড়ি শ্বশুর সেখানে চলে যাই গিয়ে দেখি পুঁটি মাছ এবং টাকি মাছ এনেছে তো উনি দাম চাম চাচ্ছিল ৫০০ টাকা,৫০০ টাকা আমার শ্বাশুড়ি নিবেনা পরে ৩০০ টাকা লাস্ট দাম বলল, মাছের ওজন হবে দের কেজির বেশি,যাই হোক মিটমাট করে বাড়িতে নিয়ে আসলাম। তারপর পানিতে জিয়িয়ে রাখলাম পরে এক সময় কেটে নিব।
আমার পিচ্চি ননদ।
তো মাছের পব্ শেষ হলে আমার চাচাতো কাকার মেয়ে ওর নাম রায়সা দেখতে মাশআল্লাহ। আমার নিজের কোনো ননদ নেই।তো আমাকে বলল রেডি করে দিতে আমি বললাম কই যাবি বলল নানুদের বাড়িতে যামু তারপর আর কি সাজিয়ে দিলাম এখন বলে আপু একটা ছবি তুলো আমায় তারপর কয়েকটি ছবি তুললাম তার মধ্যে আপনাদের সাথে একটি শেয়ার করলাম। তো আপনারাই বলুন কতো কিউট লাগছে ওকে দেখতে।
দুপুর কাটানো আমার সুন্দর মুহূর্ত।
রায়সা কে রেডি করিয়ে দেওয়ার পর দুপুরে আজান দিয়ে দিল। এরপর আমি গোসল করে নিই। তারপর আমার হাজব্যান্ড এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম একটু পরেই দেখি আসছে। তারপর ও ফ্রেশ হয়ে আসলো তারপর দুজনে খাবার খাই। তারপর আমাকে আমার হাজব্যান্ড বললেন যে আজকে নাকি আসতে দেরি হবে। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল রাতে একা খেতে হবে।সেটা ভেবে আমার বেশি খারাপ লাগছে।যাই হোক দেরি হলে তো কিছু করার নেই। এরপর কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি।
বিকেল বেলা আমার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত।
এরপর শুয়ে থাকার পর উঠি,উঠার পর দেখি আপু লাগে। ধনিয়া পাতা, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, চানাচুর দিয়ে মুড়ি বানিয়েছে।তো আমাকে বলল খেতে পরে আমি হাত মুখ ধুয়ে এসে মুড়ি মাখা খেতে লাগলাম। খেয়ে দেখি অসাধারণ টেস্ট হইছে খুব মজা লাগছিল খেতে। বিকেল বেলা সবাই এক সাথে বসে হালকা পাতলা কিছু খেতে ভালোই লাগে। বাইর বাড়িতে বসে ছিলাম, আমার শ্বাশুড়ি ডাকা ডাকি শুরু করছে।
সন্ধ্যা সময় কিছু মুহূর্ত।
এরপর বাড়িতে এসে দেখি ধান চড়াবে পরে চলা,পাতিল বের করে সব রেডি করে নিলাম। তারপর চুলায় বসিয়ে দিলাম দিয়ে অনেক হিটে জাল দেওয়া শুরু করলাম। ধান ভিজিয়েছি ছয় মোন এগুলো সিদ্ধ করতে করতে রাত যে কয়টা বাজবে আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন তো বন্ধুরা যাই হোক আস্তে আস্তে আল্লাহর নাম নিয়ে হয়েই যাবে ইনশাল্লাহ।তো বন্ধুরা আমার সারা দিনের কাটানো মুহূর্তগুলো আপনাদের কেমন লাগলো প্লীজ আমাকে দয়া করে জানাবেন প্লীজ। যদি ভালো লাগে তাহলে জানাবেন আর যদি খারাপ লাগে তাহলে আমাকে সচেতন করে দিবেন যে এটা ঠিক হয় নি। ভালো দিক টা আমায় দেখিয়ে দিয়ে যাবেন প্লীজ। তো সকলে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন সবাই নিয়ে আসবো নতুন কোনো পোস্ট সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন সবাই আল্লাহ হাফেজ।