শনিবার সকাল টা শুরু হয় একটু অসুস্থতা নিয়ে।এদিন আর কোনো কাজ রাখি নাই সকালে।তাই বেশি সময় নিয়ে ঘুমিয়ে নিলাম।যদিও দিনের আলো দেখলে আমার আর ঘুম হতে চায় না।তবুও বিছানা ছাড়লাম না।সকাল ৯:৩০ টা বাজলে বিছানা থেকে উঠব এমন সময় খাট ঝাকুনি খেল।মোবাইলে কথা বলছিলাম, ওটা রেখে পরিবারের অন্যদেরও জিজ্ঞাসা করলাম ভূমিকম্প হলো কিনা।তেমন কেউই ঠিক পায় নাই।মা অবশ্য নিশ্চিত করেছিল যে ভূমিকম্প হয়েছে।যাইহোক এরপর ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম।সকালের খাবার খেয়ে কমিউনিটির সদস্যদের কিছু পোষ্ট পড়তে বসলাম।
পোষ্ট পড়া শেষে বাইরে বের হই কিছু কাজ নিয়ে।প্রথমে ডাক বাংলা মোড়ের ক্রোকারিজ মার্কেটে যায় একটা রাইস কুকার মেরামতের জন্য। রাইস কুকারে তেমন সমস্যা ছিল না বললে চলে,সামান্য সমস্যা দেখতে ২০০/- টাকায় চুক্তি করে রেখে এলাম।বলল ১ ঘন্টা পর সেটা ডেলিভারি দিতে পারবে।আমি সেটা রেখে বাকি কাজ করতে গেলাম।এরপর স্বপ্ন'তে গেলাম।ওখানে গিয়েছিলাম হ্যান্ডওয়াশ কিনতে।ওখানে ভালো একটা অফার ছিল।কিন্তু গিয়ে দেখি কোনো প্রডাক্টই নাই!তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ি।এরপর যাই আরএফএল এর শো-রুমে।সেখান থেকে ফিল্টারের একটা জার্ম কিট কিনব। ওখান থেকে ৩০০০ লিটারের একটা জার্ম কিট কিনলাম ১৪০০/- দিয়ে।
সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যায় গগন বাবু রোডে।সেখান থেকে কিছু ঔষধ নিতে হবে ডিপো থেকে।ডিপোতে গিয়ে দেখি তেমন কোনো ভিড় নাই।অল্প সময়ে সেই কাজও শেষ হলো।এরপর বাসায় যাওয়ার পালা।প্রথমে রূপসা দিয়ে যাব বলে অটোতে উঠি,কিন্তু পরক্ষণেই ভাবি এপাশ দিয়ে যেতে সময় বেশি লাগবে।অটো ছেড়ে অন্য পথের অটোতে উঠে পড়ি।বাসায় এসে কিছু সময় রেষ্ট নিলাম।এরপর আবারও তড়িঘড়ি করে বের হতে হলো ছোট ছোট কয়েকটা কাঁচের বাটি কেনার জন্য। আজ আকাশের জন্মদিন,তাই পায়েস রেধেছে,ছোট ছোট বাটিতে সেটা পরিবেশন করবে।আাকাশের পরীক্ষার কারনে তেমন কোনো আয়োজন করার পরিকল্পনা নাই।
বাটি কিনে নিয়ে এলাম খুব দ্রুতই।বাসায় ফিরে দেখি যেজন্য বাটি কিনতে গেছিলাম সেই কাজটা তারা অন্য পাত্রের মাধ্যমে সেরে রেখেছে!এরপর আমার ওয়াইফ বলল আকাশের জন্য কিছু একটা গিফট কিনে দেয়ার কথা।আমি আবার কেউকে গিফট দেয়ার সময় ভাবি তার দৈনন্দিন জীবনে কি প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী গিফট কিনি।কাজেই বিভিন্ন শোপিচ এর বদলে আমি আকাশ কে হুডি কিনে দেওয়ার প্লান করলাম।কারন শীতের সময় এটাই অনেক কাজে লাগবে। সন্ধ্যায় কালিবাড়ি মন্দিরে মায়ের মুখ প্রদর্শন করে প্রনাম করতে গেলাম। এরপর হুডি কিনে নিয়ে ময়লাপোতার মোড় থেকে পার্সলি থেকে একটা কেক নিয়ে বাসায় এলাম। বাসায় এসে দেখি অন্য আরেকটা ফ্ল্যাটের থেকে দুজন প্রতিবেশী এসেছে ঘরে।ওনাদের বললাম আর কিঋু সময় থাকতে।আমার একজন আত্মীয় ও থাকে একই বিল্ডিংএ।তাকেও ফোনে ডেকে নিলাম।
এর ভিতর দেখি আমার কাজিন পার্থ চলে এসেছে কেক,পার্টি পেপার নিয়ে আকাশের জন্মদিন উদযাপন করতে।আমরা এরপর একটা কেক কেটে সবাই মিলে জন্মদিন পালন করলাম।পার্থ আবার বায়না ধরেছে সে আজ আমাদেরকে ট্রিট দিবে।তার ট্রিট আজ নিতেই হবে।ও দিল্লিতে চাকরি করে,সেটারই ট্রিট এটা।জোর করে নিয়ে গেল রাত ১০ টায় ডিনার করাতে।আমরা এদিন শহরের নতুন আলোড়ন সৃষ্টিকারী রেস্টুরেন্ট 'কাচ্চি ভাই" তে গেলাম।আমাদের সাথে তন্ময় আর আরেকটা কাজিন ও জয়েন করল।খাবার টা যেরকম ভাবা হয়েছিল তার কয়েকগুন খারাপ লাগল।সার্ভিসও খুব খারাপ লেগেছে।
বাসায় চলে এলাম তারপর,এরই মধ্যে আকাশ আর পার্থ সাত রাস্তা মোড়ে গেল চা খাইতে।ওরা আসলে আমরা আবারও কেক কাটার আয়োজন করলাম।পরের কেকটা কাটার সময় আমরা ৪জন ই ছিলাম।কেক কাটার পর বেশ মজা করলাম এটা ওটা নিয়ে।তারপর ঘুমাতে যাওয়ার পালা।কাল আবার অফিস রয়েছে।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |