সকাল |
---|
আজকে সকালে ঘুম ভেঙেছে আটটার পরে। ওঠে দেখি ছোট ছেলে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে।অবরোধ আর হরতাল এর ঝামেলার জন্য সব স্কুলই ছুটির দিনে খোলা থাকে ইদানীং । ওদের পরীক্ষা চলছে। ও নাস্তা না করেই স্কুলে চলে যায়।বারান্দায় যেয়ে দেখি আকাশটা অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।মেঘ ছড়িয়ে আছে চমৎকার ভাবে।
কিছু সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখি। এরপর রান্না ঘরে ঢুকি। অসুস্থতার জন্য নাস্তা কমই বানাই। আজকে বানাবো এটা গত রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলাম।এজন্য রাতেই সবজি কেটে রেখেছিলাম কারন খুব বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না আমি।
রুটির জন্য আাটা সেদ্ধ করে সবজি চুলায় দিয়ে মাত্রই লবন দিতে গিয়েছি এমন সময় শুনি চট চট করে শব্দ হচ্ছে।কি হচ্ছে বুঝে উঠার আগেই প্রচন্ড রকমের ঝাঁকুনি টের পেলাম পায়ের নিচে।এমন ঝাকুনি টের পেয়েছিলাম নেপালের ভুমিকম্পের দিন।আমার সবার আগে মনে পরলো যে, আমার বড়ো ছেলে ঘুমিয়ে আছে। আর ওর মাথার ওপর ফ্যান ঘুরতেছে।মনে হলো এখুনি ওকে না জাগালে ওর ওপরে ফ্যান খুলে পরবে।ওকে চিৎকার করে রান্নাঘর থেকে ডাকতে ডাকতে বের হওয়ার আগেই শুনি ও বলতেছে, আস্তে, আমি ওঠে গেছি। বিছানা এতো জোরে কেঁপেছে যে, ওর ঘুম ভেঙে গেছে। ওর বাবাও দেখি ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছে।সে বলতেছে চটচট শব্দ শুনে আমি ভেবেছি ওয়ালে ফাটল ধরতেছে। আমরা একটা পিলারের পাশে দাড়ালাম৷ কারন তখনও বিল্ডিং কেঁপেই যাচ্ছে।
এর মাঝেই আমার ছেলে কারেন্টের মেইন সুইচ আর চুলা বন্ধ করে দিয়ে আসলো।আমাদের বাড়িতে ভুমিকম্পের সময় মারাত্মক একটা পরিবেশ তৈরি হয়।
এমনিতেই ৯তলার ওপরে থাকার করানে বেশি ঝাঁকুনি লাগে, সেই সাথে ড্রয়িং রুমের কাচের পার্টিশন, জানালার কাঁচ সবকিছু মিলিয়ে ঝনঝন করে সাউন্ড হয়। আজকে আবার এর সাথে নতুন যোগ হয়েছিলো একধরণের চটচট শব্দ। পরে আমার ভাইয়ের সাথে কথা বলে জেনেছি যে ওদের বাসায়ও একই রকম শব্দ হয়েছিলো।
ভুমিকম্প থেমে যাবার পরে দেখলাম য,ঢাকা থেকে মাএ ১৬ কিমি. মাটির ৮কিমি. গভীরে দূরত্বে ৫.৩ মাএার ভূমিকম্প হয়েছে। ঢাকার খুব কাছেই এপি সেন্টার হবার কারনে ভূমিকম্প খুব একটা জোরে না হলেও কাঁপুনি বেশি লেগেছে।
ভূমিকম্পের রেশ কাটার পর পরই বুয়া আসে বাসায়। সে রুটি বানিয়ে দেয় আর আমি ভেজে ফেলি। যার কারনে দ্রুত শেষ হয়ে যায়। একই সাথে দুপুরের রান্নাও শেষ করে ফেলি।
দুপুর |
---|
বুয়া চলে যাবার কিছু সময় পরে ছোট ছেলেও স্কুল থেকে চলে আসে।এসেই খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। ওর সাথে সাথে বড় ছেলেও ঘুমিয়ে পরে।যার কারনে দুপুরে ওদের বাবা আর আমি একসাথে খেয়ে নেই।ওরা আর উঠে নাই। খাওয়ার পরে আমিও ঘুমিয়ে পরি।ওষুধের প্রভাবে ইদানীং প্রচুর আর উল্টোপাল্টা সময়ে ঘুমাই আমি।
রাত |
---|
সারাদিনই ফাঁকে ফাঁকে স্টিমিটে মন্তব্য করার চেষ্টা করেছি কারন আমাদের কমিউনিটিতে টুর্নামেন্ট চলছে। ঘুম ভেঙে দেখি ছেলেরা খেলতে চলে গেছে। খেলা শেষ করে এসে সন্ধ্যার পরে গ্রিল আর তন্দুর অর্ডার দেয় ছেলেরা। পরে সবাই খেয়ে নেয়। আর আমিও লেখা শুরু করি আজকের দিনের জন্য।
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦