Better Life With Steem | The Diary game | January 13, 2024 |

Black and Orange Aesthetic Halloween Photo Collage.png

সকাল

আজকেও ছুটির দিন কেউ বাইরে যাওয়ার নেই তাই সকালে উঠার পরেও আবারো ঠান্ডার কারণে লেপের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলাম।দ্বিতীয় বার ঘুম ভাঙলো হাসবেন্ডের ডাকে। সে মিরপুরে যাচ্ছে। আগে থেকেই জানতাম যে আজকে সে মিরপুর যাবে।
প্রতি সপ্তাহেই একবার করে অন্তত যায় কারণ ঐখানে ব্যাংকের কয়েকজন কলিগ মিলে একটা জায়গা কিনেছে। সেখানে বাড়ির কাজ চলতেছে। নাস্তাও সেখানেই করবে।
সে চলে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম প্রায় সাড়ে আটটা বাজে। পরে উঠে গেলাম কারণ শীত বাড়ার সাথে সাথে গ্যাসের সমস্যাও বাড়তেছে। গতকাল দুপুরে রান্নায় করতে পারি নাই এই গ্যাসের জন্য। বারান্দায় গিয়ে দেখলাম আজকেও কুয়াচ্ছন্ন হয়ে আছে চারপাশটা ,যদিও কুয়াশা খুব যে একটা ঘন এমন না।

সাথে শীত আছে বেশ ভালই। এরমাঝে বড়ো ছেলেও দেখলাম উঠে পড়েছে বানিয়ে ওকে খেতে ডাকলাম কিন্তু না খেয়েই চলে গেলো। বললো যে খেলে আরো বেশি ঠান্ডা লাগবে। ও চলে যাবার পরে আমি ফ্রিজ থেকে মুরগি আর সবজির প্যাকেট বের করলাম। গতকালই কেটে রেডি করে রেখেছিলাম সবকিছু। যার কারণে কাটাকাটির ঝামেলা আজকে কম।
এক দিকে সবজি সেদ্ধ দিলাম আরেক দিকে সামান্য যা কিছু কাটাকাটি করার ছিল সেটা শেষ করার দিকে মনোযোগ দিলাম। চাল আনতে গিয়ে দেখি চাল শেষ হয়ে গেছে।
আমি সাধারণত এসব জিনিস একবারে বেশি করে কিনে রাখি তাতে বার বার ঝামেলা করতে হয় না। পরে নিচ থেকে চাল আর গাজর কিনে নিয়ে আসলাম।
পরে রান্না শেষ করলাম কিন্তু বুয়ার দেখা নেই আজকে। বুঝতে পারলাম আজকে আসবে না সে। এমনিতেই আসে না ঠিকমতো আর দুদিন ধরে তো আসলেই অনেক ঠান্ডা পড়েছে। গতকাল রাতেই কেন জানি মনে হয়েছিল যে কাল হয়তো বুয়া আসবে না ঠান্ডার জন্য।

দুপুর

Black and Orange Aesthetic Halloween Photo Collage (1).png

বড়ো ছেলের ডিউটি চলবে ২টা পর্যন্ত কিন্তু কপি কালেক্ট করে জমা দিয়ে আসতে আসতে আড়াইটার বেশি বেজে যাবে। তাই ভাজাভাজির কাজটা বাকীই রাখলাম যে ও আসলেই ভাজবো। যদিও তখন গ্যাস থাকবে কিনা একটা সন্দেহ ছিল।
ওর বাবাকে কল দেয়াতে সে বললো যে দুপুরে আর আসবে না পল্টনে চলে গেছে। আমাদেরকে খেয়ে নিতে বললো। পরে আমরা ৩জনেই খেয়ে নিলাম দুপুরে।
খাবার পরে আমি আর বড়ো ছেলে মিলে কিছু সময় ডকুমেন্টারি দেখলাম। পরে ছোট ছেলের কাছে চলে আসলাম। ওর পরীক্ষা শুরু হবার পর থেকে চেষ্টা করি ওর কাছাকাছি থাকার।

রাত

সন্ধ্যার পর ওর বাবাও চলে আসলো। খাবে কিনা জিজ্ঞেস করায় বললো এখন আর খাবে না একবারে সবার সাথেই খাবে। এর মাঝে হঠাৎ করেই বড়ো ছেলে বাইরে চলে গেলো না বলেই ,সাধারণতো এমন করে না। ভাবলাম যে নিচে হয়তো ওর কোনো বন্ধু আসতে পারে।
কয়েক মিনিট পরে দেখি কেক নিয়ে এসেছে। এসে বলতেছে যে , তোমাদের এনিভার্সারীর দিন আমি ছিলাম না ,আর গতকাল আমার ইনভিজিলেশনের জন্য আসতে রাত হয়ে গিয়েছিলো তাই আজকে নিয়ে এসেছি।
আসলে আমাদের দুজনেরই মনে ছিল ১১ তারিখের কথা কিন্তু এক ছেলে মামার বাড়ি আরেক ছেলের পরীক্ষার কারণে কিছু করি নাই।

কিন্তু আজকে ছেলে দুদিন পরে কেক নিয়ে এসেছে। পরে খাওয়া শেষ করে কেক কেটে সবাই মিলে খেলো। খাওয়া শেষ করে ছেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে চলে গেলো মামার বাড়ির সামনে। আর আমিও লিখতে বসলাম।
এই লাইন লেখার সময় কলিং বেল বাজলো ,তারমানে ও চলে এসেছে। আর আমার লেখাও শেষ করে দিলাম।



Thank You So Much For Reading My Blog
H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
12 Comments